তবুও কি আপনি মুখ ফিরিয়ে নিবেন!

ছবিঃ সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব – আল কোরআন

১৪০০ বছর আগে রাসুল (সাঃ) এর বাণী আজ বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছে !

মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ “পুরুষের প্যান্ট বা কাপড় পায়ের টাখনুর উপর পড়তে হবে। অন্যথায় তারা জাহান্নামে যাবে।”
– (সহীহ বুখারী ৫৩৭১)

বিজ্ঞান বলে, পুরুষের টাখনুর ভিতর প্রচুর পরিমানে হরমোন থাকে এবং তার আলো বাতাসের প্রয়োজন হয়। তাই কেউ যদি তা খোলা না রেখে ঢেকে রাখে, তাহলে তার যৌনশক্তি কমে যাবে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে।

মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “ভ্রু প্লাগকারীর উপর আল্লাহর লানত”
– (সহীহ বুখারী ৫৫১৫)

বিজ্ঞান বলে, ভ্রু হলো চোখের সুরক্ষার
জন্য। ভ্রুতে এমন কিছু লোম থাকে যদি তা
কাটা পড়ে যায় তাহলে ভ্রুপ্লাগকারী পাগল হতে পারে, অথবা মৃত্যুবরণও করতে পারে।

রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়া হারাম”
– (সহীহ বুখারী ৬১২৪)

বিজ্ঞান বলে, ধুমপানের কারনে ফুস্ফুসের ক্যান্সার, ব্রংকাইটিস ও হৃদরোগ হয়ে মানুষ মারা যায়। ধুম্পান করলে ঠোট, দাতের মাড়ি, আঙ্গুল কালো হয়ে যায়। যৌনশক্তি ও ক্ষুধা কমে যায় এমনকি স্মৃতিশক্তি ও কমে যায়।

রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।”
– (মুসলিম ১৬৫৫)

বিজ্ঞান বলে, স্বর্ণ এমন একটি পদার্থ যা স্কিনের সাথে মিশে ব্লাডের মাধ্যমে ব্রেনে চলে যায়। আর তার পরিমান যদি ২.৩ হয় তাহলে মানুষ তার আগের স্মৃতি সব হারিয়ে ফেলবে।

রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ঘুমানোর সময় আলো নিভিয়ে এবং ডান কাত হয়ে ঘুমাতে।
– (সহীহ বুখারী ৩২৮০)

বিজ্ঞান বলে, ডান কাত হয়ে ঘুমালে হার্ট ভালো করে পাম্প করে। আর লাইট না নিভিয়ে ঘুমালে ব্রেনের এনাটমি রস শরীরে প্রবেশ করতে পারে না, যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার খুব সম্ভবনা থাকে।

রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা গোফ ছেটে ফেল এবং দাড়ি রাখ।”
– (সহীহ মুসলিম ৪৯৩ ও ৪৯৪)

বিজ্ঞান বলে, দাড়ি না রাখলে স্ক্রিন ক্যান্সার, ফুস্ফুসের ইনফেকশন এবং ৪০ এর আগে যৌবন হারানোর সম্ভবনা থাকে।

আল্লাহ সুবনাহু তায়ালা বলেন, “আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়োনা। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং ধ্বংসের পথ।”
– (বনি ইসরাঈল ৩২) নেশাগ্রস্থ শয়তানের কাজ (মাইদাহ ৯০)

বিজ্ঞান বলে, পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল সম্পর্ক সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নেশায় যদি কেউ জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তার ব্রেনের ফরেন্টাল এরিয়া পরিচালনা করার ইনটেলেকচুয়াল সেলগুলো থরথর করে কাপতে থাকে এবং অস্থির হয়ে যায়। যার ফলে সে নেশাগ্রস্থ হয়ে মাতাল ও অসুস্থের মত জীবন পরিচালনা করে। এবং তা তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।

আল্লাহ বলেন, “আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।”
– (আরাফ ২০৪)

বিজ্ঞান বলে, কুরআনের সাউন্ড ওয়েব শরীরের সেলগুলোকে সক্রিয় করে, অসুস্থতা আরোগ্য করে বিশেষ করে হার্ট এবং ক্যান্সার রোগীদের। আর ব্রেনকে এমনভাবে চার্জ করে, ঠিক যেমন ভাবে ফিউজ হওয়া ব্যাটারীকে সচল করা হয়।

শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। সবাইকে জানিয়ে দিন ইসলামের বিজয়ের কথা !!

তবুও মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন!

Pic of Abul Hossain

আসলেই পৃথীবি একটা নাট্যমঞ্চ!
জীবনের প্রতি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে আশ্চর্য সব মোড়!
মাত্র ৫ মিনিটের সামান্য একটা কাজ প্রভাব ফেলবে আপনার সমগ্র জীবন জুড়ে! আপনি এটা ভাবতে পারেন কত বিস্ময়কর না ব্যাপারটা?

জীবনে চলার পথে আপনার পরিচয় হবে বহু মানুষের সাথে, কেউ রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় কেউ বা রক্তের সম্পর্কবিহীন আত্মীয় আবার কেউ আধ্যাত্মিক বা মানসিক শান্তি’তে ভূমিকা রাখে!
যে যেমন’ই হোক আপনি বিশ্বাস করেন এই সব পরিচয় শুধুমাত্র ব্যাক্তির উন্নয়ন /উপকারের স্বার্থে!আপনার সাথে আমার এই যে পরিচয় এটার ভেতরেও দেখবেন লুকিয়ে আছে কোনো রহস্য! তাই বলে তো আপনি অকৃতজ্ঞ হতে পারেননা!

আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় ক্ষতি করবে আপনার নিকটের মানুষেরা যা আপনি চিন্তা ও করতে পারবেননা!আপনি যা ভাবেননি তারা তাও করবে, আর আপনি হারিয়ে যাবেন জীবনের অতল গহ্বরে,বিলীন হয়ে যাবে আপনার জীবনের সব মূল্যবান মুহুত্বগুলোও!

আমি নিজেও এটা দেখেছি আমার জীবনের অভিজ্ঞতায়,এখনো অনেক সম্পদশালী না হওয়ায় অর্থ দিয়ে কাউকে সাহায্য করিনি তবে সময়,শ্রম ও নিষ্ঠার সাথে মানুষকে আমার এই ক্ষুদ্রজীবনে অনেক সাহায্য করেছি!বিশ্বাস করেন অনেক! তবে আমি এই মানুষগুলোর ভিতরে ২০% এর অধিক মানুষকে দেখেছি যারা চরম লেভেলের অকৃতজ্ঞ! তাদের যত তাড়াতাড়ি উপকার করেছি ঠিক তার দিগুন গতিতে তারা আমার জীবনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করেছে!

একটা গল্প বলি,একবার একজন মানুষকে উপকার করলাম তারপর সে আমাকে এতবড় একটা ক্ষতি করলো যার প্রভাব হয়তো এ জীবনে কাটবেনা!তারপর উক্তলোকটি নিরুপায় হয়ে আবার আমার সাহায্য চাইলো তাকে আমি পুনরায় আবার উপকার করলাম! কেনো জানেন?

শুধুমাত্র তাকে এটা বোঝানোর জন্য যে ক্ষুদ্রজীবনে তুমি যতটা স্বার্থপর আমি ঠিক ততটাই উপকারী,তুমি আর আমি সত্যিই এক নয়!
একজন আলো আর অন্যজন অন্ধকার! সুতরাং তোমার বিচার উত্তম বিচারক মহান আল্লাহ করবেন আর আমার প্রতিদান দিবেন পরম দয়ালু মহান আল্লাহ। ❤️

আমার এই উপকারী মনোভব নিয়মিত চলতে থাকবেই আর তাদের এই কুৎসিত প্রতিদানও পাল্টা আসতে থাকবে, থাকুক না এতে আমি বিচলিত নয় তবে আল্ট্রা লেভেলের বিধ্বস্ত!

একটা কথা জেনে রাখো অন্ধকার দেখতে দেয়না মানুষ সেখানে পতিত হয়,দিক হারিয়ে যায়!
আর আলো পথ দেখায়,অন্যকে এগিয়ে নেয়।

আমি সারাজীবন তাদের প্রিয় মানুষদের সাথে তাদের একত্রিত করেছি আর তারা আমার হাত টেনে আমার প্রিয় মানুষদের থেকে বন্ধন ছাড়িয়ে দিয়েছে!

অতঃপর এভাবেই জীবন চলে তারা স্বার্থপরতায় খুশি আর আমি পরোপকারিতায় আলহামদুলিল্লাহ ❤️🥀
-আবুল হোসেন